কিছু কথা...!


নতুন শুরু করলাম।কিছুই বুজতেছিনা ভালকরে।তারপরও শুরু করে দিলাম।দেখি কোথায় যেতে পারি। কারো নির্দেশনা ফেলে হয়ত আরো ভাল করতাম।।অনলাইন এ অনেক বন্ধুকেই দেখি হালকা পাতলা এসব কাজ করতে। কিন্তু নিজ়ে কখনও সাহস করিনাই। এখন দেখতেছি সাহস না করলে হচ্ছেনা। তাই সাধনা শুরু করে দিলাম।। হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর...! (আমিন)

Friday, July 9, 2010

নীরব কেক কাটা...!


ইদানিং আমরা শুক্র বারেও ব্যাস্ত হয়ে গেছি।দিনদিন ব্যাস্ততা বেড়েই চলছে।। জুমার নামাযের পর বাহিরে থাকতে হয়। অনেক কিছুই চোখে পডে রাস্তায়।আবার কত কিছু খেয়াল করিনা।।মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপার নজর কাটে।।ঢাকার মানুষ গুলো একটু বেশিই ব্যাস্ত থাকেন। শুক্রবারটা হল তাদের সস্থির দিন।। সারাদিন বিশ্রাম আর বিকেল বেলায় একটু মঝা করে কটানো।এ দিনটার বিকেল বেলায়, পার্ক গুলোতে বড্ড ভিড় থাকে।।কেউ পরিবার নিয়ে,কেউ বন্ধুরা মিলে,আবার কেউ মনের মানুষটাকে নিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটান।। আজ যে ব্যাপারটি নজর কাটল......... আমি আর ছোটন,কাজ শেষে বাসায় ফিরব।আমি বললাম চল,চা খাই। ও না করলনা। আমারা দু'জন একটা মোটামুটি ভাল হোটেলে ডুকলাম।পাশের একটা টেবিলে তিনটা ছেলে মেয়ে। দু'জন ছেলের বয়স ২১,২২ এর বেশি হবেনা। মেয়েটি ১৬ বছরের বেশি না।।ওদের ড্রেস আপ দেখে মনে হল ওরা ভারী কোন কাজ করেন।।খুব সম্ভবত মেয়েটিও খুব বড় ঘরের কেউ হবেনা।। ওদের সামনে একটা পেকেট ছিল।।ওটার মধ্যে কি আছে তখনও আমরা জানিনা।। দু'জন পাশাপাশি আর একজন সামনে বসে,ক্লান্তিময় চোখে ওদের তিনজনাতে হাসি বিনিময়।। কিছুক্ষণ কেউ কোন কথা না বলে তিন-জনি বসে আছে।।এরি মধ্যে ওদের একজন পেকেটটা খুললেন।।তারপর একটা কেক বের করলেন ওটা থেকে।।
তখন আমদের আর বুঝতে বাকি থাকলনা যে,আজ ওদের যে কোন একজনের জন্মদিন। কিছুক্ষন পর দেখা গেল মেয়েটি কেক কাটছে।।সুতরাং মেয়েটির জন্মদিন।। তারা একে অপরকে খাওয়াচ্ছে খুব হাসিমাখা মুখে।।একটু পর তাদের সাথে দু'জন হোটেলের কর্মচারিও অংশ নিল তাদের আকুল অনুরোধে।।এরপর নীরব হৈঃ হৈল্লাতে একটা জন্মদিনের উৎসব শেষ হল।।ওদের এ আয়োজনটা আমদের ভীষণ আকৃষ্ট করেছে।।যদিও অনেকর কাছে তাদের এ উৎসবটা কিছুই না,তবুও তাদের প্রানের উল্লাস কারো থেকে কম নয়।। আমি আর ছোটন একটা জন্মদিনের উৎসব খুব কাছ থেকে উপভোগ করলাম।।


" শুভ জন্মদিন "

No comments:

Post a Comment