কিছু কথা...!


নতুন শুরু করলাম।কিছুই বুজতেছিনা ভালকরে।তারপরও শুরু করে দিলাম।দেখি কোথায় যেতে পারি। কারো নির্দেশনা ফেলে হয়ত আরো ভাল করতাম।।অনলাইন এ অনেক বন্ধুকেই দেখি হালকা পাতলা এসব কাজ করতে। কিন্তু নিজ়ে কখনও সাহস করিনাই। এখন দেখতেছি সাহস না করলে হচ্ছেনা। তাই সাধনা শুরু করে দিলাম।। হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর...! (আমিন)

Thursday, June 10, 2010

আমার লিখা কিছু কবিতা।।

একাকি রাত্রি



অপেক্ষার রাত যেন আর কাটেনা।
.........................................।।
যাপসা কুয়াষার মাঝে হুতুম পেঁচা ডাকে,
আমার সঙ্গি হয়ে দূর-বহুদূরে।।
ইঁদুর গুলো নিস্তব্ধতার মাঝে,
বর্ষার সঞ্জয়ের ব্যাস্ততায়।।
তাদের ছোট ছোট পাঁয়ের শব্দ,
এ নিরবতার মাঝে ঝরা পাতার শব্দের মতন।।
কৃষকের কাস্তের মত বাঁকা রুপালি চাঁদ,
হয়ত আমার মত কারো স্বপ্নে বিভোর।।
তার অপেক্ষা হয়ত সকালের জন্য;
সূর্যি মামাকে দেখেই বিদায়।।
আমার সঙ্গি বাঁকা চাঁদ,
আর চাঁদের রুপালি আলোতে শিশির বিন্দু।।
তোমার আমার সেই পান্ডুলিপিকে সঙ্গি করে,
কাটিয়ে দেব সেই অপেক্ষার রাত।।
-------
----


একদিন রাত্রিতে


স্মৃতি মোদের অনেক কম,তাও কম কিসে...?
ভাবি,তাই থাকবে জীবনে মিশে।।
সেইদিন তুমি,আমি ও সে
ছিলেম অন্ধকারে সিঁড়িতে বসে।
জুম অন্ধকার,যাইনা কিছু দেখা,
লোকজন থেকেও সব কিছু পাঁকা।।
মন চাইছিল হাঁটি চাঁদের আলো
হলনা হাঁটা,রাত যে ছিল আঁধার কালো।।
পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে কতজন ল্যাম্পপোষ্টে,
ভেবেছে কত কি তাদের স্বপ্নের হৃদয়পটে।।
স্মৃতিময়তায় আজও আমি বিভোর
স্মৃতি আছে বলেই জীবন সুখকর...।
---------
------

পেলে আসা আমার কৈশর

আমার কৈশর মানে বন্ধুদের মিলে
নান রঙের খেলায়,অনাবিল আনন্দ ;
গাঁয়ের পথধরে অন্তহীন পথে ছুটেচলা।।

সকাল বেলা গোসল করে ব্যাস্ততা,
ব্যাগ কাঁধে জমিনের আইল ধরে
নগ্ন পায়ে স্কুলের পথে চলা।।

বসন্তের ভোরের কুয়াশায় হাটা,
দূর্বা-ঘাসের হীরক কণা গুলোতে পা সিক্ত করা।
শিমুলের কলিতে কাঠি ডুকিয়ে
ঘুরানোর প্রতিযোগিতায় মাতা।।

সাদা তুলো উড়িয়ে--
সাদা বক গুলোর নিশান ছিন্ন করা।
বিকেলের বাতাসে ঘুঁড়ি উড়ানো
আর আকশের নীলে কিছুক্ষন।
তারপর,একঝাঁক রাজহাঁস আর আমি
আমাদের সামনের জমিতে চড়ানো।।

আমার কৈশর মানে রাত্রিবেলা
আম্মুর মার খাওয়া আর আব্বুর ধমক।
আমার কৈশর হল ফুফুদের বাড়িতে কেরাম,
আর আমাদের বাড়িতে ছোট ভাইদের সাথে ক্রিকেট...।।

-----------
-------

সেই দিন বিকেলে


উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণ,ফর্সা ও বলা চলে ।
কাজল কালো নয়নে
অবাক চাহনি তার ।।
নবকৈশরের মেয়েটি,যৌবনের
সমস্ত আলোটাই তার উপর পড়েছে !

চার,পাঁচ বছর পার্থক্য
আমাদের বয়সের।।
সেই দিন গ্রীষ্মের বিকেলে
অনাবিল দক্ষিণা বাতাস...।

স্কার্ট পারেছে ও
ছাদের ডান পাশের পেয়ারা গাছ ;
বসল একটু সরে
ছাদের অনউচূ রেলিং এ ।।

পড়ন্ত সূর্যের আলো
পেয়ার গাছ ভেদ করে ওর মুখে পড়ল।।
এলোকেশে সূর্য্য এঁকে দিল পেয়ারা পাতা...।
খালি পায়ে এক জোড়া নুপূর ;
ওর নিঃষ্পাপ চাহনিতে বাতাস বিভোর...!

হঠাৎ নিচু গলায় ডাকলো আমাকে ;
সমস্তটাই আমি স্থবির হয়ে গেলেম।।
নিঃসংকোচে বলল,"আমার পাশে বস"...!
মহারাণীর কথা মান্য হল ।

আমি তার ডাক নামেই ডাকলাম--
দোলন চাঁপা,,
আকাশের নীলিমা হার মানলো
বুঝি আজ তোমার কাছে...।।
হাতে হাত ছিল অনেক্ষণ,
ছাড়তে চাইলেনা তুমি ;
কিছু কথা আজও কানে ভাসে ।।

তারপর,পশ্চিম আকাশের রক্তিম আভা
বিদায় জানালো ক্ষনটাকে।।
ঘরে ফিরলাম তুমি-আমি,,
আজও আছে কত কথা...
শুধু নেই আমার,তুমি...।।

.....................
............


কাল্পনিক স্বপ্ন

ঐ অদূর আকাশের দিগন্তে এঁকেছি স্বপ্ন,
খুঁজেছি তাকে একটি গ্রামের পর।
রেল লাইনের পথ ধরে সে চলেছে বহুদূর......!
খুজতে গেলুম তাকে পিচ্-ডালা পথে,
দেখা দিল সে কিছুদূরে মরীচিকার বাঁকে।

ক্লান্ত আমি নদীর কুলে হাঁটি
নদী আমায় কিছু কথা বলছিল ডাকি।
"তোর চলার পথ যদি হয় রুদ্ধ,
আপনাতে কখনও হবিনা দগ্ধ।
তোর তুই,তোরি মাঝে
নতুন কিছু শীঘ্রই, পাবি খুঁজে।"

হেঁটেছি তারপর আরো কিছু পথ
থামলাম হঠাৎ পেয়ে এক চর।
ক্লান্ত দুপুর, আমি একা পথিক
চোখ পেতে দেখি কাঁপছে চারদিক।

ধু-মাঠে নেই কেউ, আমি একেলা
আকাশে জোড়া চিল দিচ্ছে পাহারা।
বারবার ঘুরে আমার মাথার উপর
কি যেন বলে মেলে পাখা দ্বয়।
আমি বুঝিলাম নিজের মাঝে
হয়ত বলেছে, না খুঁজি তারে।
" যে যাওয়ার সে গেছে চলি
তবু কেন আঁকছ তুই,তারি ছবি?
জানি আমি, পারসনা ভুলতে তারে
যে দিয়েছে অবেলাতে ব্যাথা তোরে।
মানুষ চায় অনেক কিছু;সব কি পায়...?
এ ভেবে কতজন, ডুবেছে হতাশায়।

তাই বলি তুই ভাবিস্‌না এসব
নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দেয়,গেছে যে সব।
তুই তোরি,ছিলনা তোর কিছু
এ মন্ত্র বউকে নিয়ে চল,নতুন জীবনের পিছু...!

No comments:

Post a Comment