
স্কুল,টিপিন পিরিয়ড এ জীবন স্যারের কাছে উচ্চতর গণিত করা।ছুটির পর আবার কাইয়ুম স্যারের কাছে ইংরেজি পড়া।ক্লাস শুরুর আগে আবার পদার্থ এবং রসায়ন প্রাইভেট।এত ব্যাস্ততার পরও ঠিকই বের করে পেলতাম খেলার সময়টা। আমি একা পাগল ছিলামনা। আমার থেকেও বড় বড় পাগল গুলো ছিল।এত কিছুর পরও মনে হয় যেন বিন্দু মাত্রও ক্লান্ত হতামনা। মাঝে মাঝে জীবন স্যার ভীষন বোকাও দিত, "তোমাদের বলি,সময়টা নষ্ট করনা;তাও তোমরা খেলা ছাড়তে পারনা; এ নাড়া ক্ষেতের খেলা দিয়ে জীবনে কিচ্ছু হবেনা "। স্যার যখন জাড়তেন, তখন ঠিকই মাথা নিছু করে শুনতাম। ক্লাস রুম থেকে বের হহলেই সব ভূলে যাই। ঠিকই আবার মাঠে নেমে যাই। সকালে বের হলে সন্ধ্যার আগে খুব কম সময়ই বাসা ফিরছি।।কারণ হল,বাসায় গেলেই আম্মু ঘুমানোর জন্য আটকাবে।তখন আর খেলতে যেতে পারবনা।।
আম্মু অনেক দিন আটকিয়েছে। কিন্তু আম্মুকে ঘুম পাড়ায়ে কখন যে বের হয়ে গেছি আম্মু বলতেই পারেনা।বাসায় ফিরার পর মারতো রেডি করেই রেখেছি।আম্মুর শলার বাড়ি পিঠের উপর কত শেষ হয়েছে তার হিসেব নাই।আজও আম্মুর সাথে মাঝে মাঝে কথা গুলো বলে মায়-ছেলে হাসা হাসি করি।।আম্মু মনে হয় এভাবে না মারলে হয়ত এত দূর আসতে পারতামনা। আমার জীবনের সকল অর্জন আমার আম্মুর। জীবনের এ বেলায় ফেলে আসা দিন গুলোকে ভীষণ অনূভব করি।। ইস্......... যদি ঐ ভাবে জীবনটা চলত...!
আম্মুর আজ এই কষ্টকর মহূর্তে;আম্মুর আদর,আম্মুর শাসন ভীষন মনে পরছে।। খুব ইচ্ছ করছে আম্মুর কাছে যেতে। আম্মুর অসুস্থ্যতায় আম্মুর কাছ থেকে দূরে থেকে, অনুভূতি গুলো আমায় ভীষন পীড়া দিচ্ছে।।
নিজ়ের লিখা,আমি আর কি বা মন্তব্য করব...ঃ) ফেসবুকে অবশ্য অনেক বন্ধু মন্তব্য করেছেন।
ReplyDelete