কিছু কথা...!


নতুন শুরু করলাম।কিছুই বুজতেছিনা ভালকরে।তারপরও শুরু করে দিলাম।দেখি কোথায় যেতে পারি। কারো নির্দেশনা ফেলে হয়ত আরো ভাল করতাম।।অনলাইন এ অনেক বন্ধুকেই দেখি হালকা পাতলা এসব কাজ করতে। কিন্তু নিজ়ে কখনও সাহস করিনাই। এখন দেখতেছি সাহস না করলে হচ্ছেনা। তাই সাধনা শুরু করে দিলাম।। হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর...! (আমিন)

Wednesday, July 28, 2010

ছোটনের জন্মদিনে আমার গিপট্‌...!

আকাশে অনেক সুন্দর একটা চাঁদ "জানু"। পুরা ঢাকা শহরটা যদি লোড-শেডিং হত...! ইস্‌,,, কি সুন্দরটানা লাগত।মাঝে মাঝে কিছু নারিকেল গাছ চোখে পডে। চাঁদের আলোটা যখন নারিকেল পাতার উপর পডে;এর সৌন্দর্য্য দেখেছিস্‌ কখনও...?অদ্ভূদরে...!
আমি প্রায় ...চাঁদের আলোতে দেখি। মনে হয় যেন আমার গ্রাম।

এই,,... জোনাকি পোকার মাঝখান দিয়ে মাঝরাতে একাকি রাস্তায় হাঁটার অভিজ্ঞতা আছে তোর...? ধর, তুই একা বসে আছস্‌;পশ্চিম আকাশে সুন্দর একটা চাঁদ; অদূরে হালকা কুঁয়াশা ঝরছে;মাঝে মাঝে মিট মিট করে জোনাকি পোকার আলো দেখা যায়। তুই,চাঁদের আলো,আবছা কুঁয়াশা আর জোনাকি পোকা ছাড়া কেউ কোত্থাও নেই। ভাবতো এ রাতটা।। অনেক সুন্দর তাইনারে...?
এ রাত্রিটা তোর জন্ম দিনে আমার গিপট্‌ "জানু".....ঃ)

"শুভ জন্মদিন""

আমার গ্রাম আর আমার মা...!

গ্রামে যায়না আজ প্রায় দু'মাসের বেশি।আমি কখনও এক মাসের বেশি ঢাকায় থাকিনা সচরাচর।আজ ভীষন মনে পড়ছে নিজ়ের গ্রামটিকে। আমার গ্রামের বন্ধুরা।কত প্রহর কাটিয়েছি তাদের সাথে।।ক্রিকেট ,ফুটবল আরও কত রকমের খেলায়। আজও জীবনের একান্ত ব্যাস্ততম ক্ষণে কথা গুলো মনের গহিনে ভাসে।
স্কুল,টিপিন পিরিয়ড এ জীবন স্যারের কাছে উচ্চতর গণিত করা।ছুটির পর আবার কাইয়ুম স্যারের কাছে ইংরেজি পড়া।ক্লাস শুরুর আগে আবার পদার্থ এবং রসায়ন প্রাইভেট।এত ব্যাস্ততার পরও ঠিকই বের করে পেলতাম খেলার সময়টা। আমি একা পাগল ছিলামনা। আমার থেকেও বড় বড় পাগল গুলো ছিল।এত কিছুর পরও মনে হয় যেন বিন্দু মাত্রও ক্লান্ত হতামনা। মাঝে মাঝে জীবন স্যার ভীষন বোকাও দিত, "তোমাদের বলি,সময়টা নষ্ট করনা;তাও তোমরা খেলা ছাড়তে পারনা; এ নাড়া ক্ষেতের খেলা দিয়ে জীবনে কিচ্ছু হবেনা "। স্যার যখন জাড়তেন, তখন ঠিকই মাথা নিছু করে শুনতাম। ক্লাস রুম থেকে বের হহলেই সব ভূলে যাই। ঠিকই আবার মাঠে নেমে যাই। সকালে বের হলে সন্ধ্যার আগে খুব কম সময়ই বাসা ফিরছি।।কারণ হল,বাসায় গেলেই আম্মু ঘুমানোর জন্য আটকাবে।তখন আর খেলতে যেতে পারবনা।।
আম্মু অনেক দিন আটকিয়েছে। কিন্তু আম্মুকে ঘুম পাড়ায়ে কখন যে বের হয়ে গেছি আম্মু বলতেই পারেনা।বাসায় ফিরার পর মারতো রেডি করেই রেখেছি।আম্মুর শলার বাড়ি পিঠের উপর কত শেষ হয়েছে তার হিসেব নাই।আজও আম্মুর সাথে মাঝে মাঝে কথা গুলো বলে মায়-ছেলে হাসা হাসি করি।।আম্মু মনে হয় এভাবে না মারলে হয়ত এত দূর আসতে পারতামনা। আমার জীবনের সকল অর্জন আমার আম্মুর। জীবনের এ বেলায় ফেলে আসা দিন গুলোকে ভীষণ অনূভব করি।। ইস্‌......... যদি ঐ ভাবে জীবনটা চলত...!

আম্মুর আজ এই কষ্টকর মহূর্তে;আম্মুর আদর,আম্মুর শাসন ভীষন মনে পরছে।। খুব ইচ্ছ করছে আম্মুর কাছে যেতে। আম্মুর অসুস্থ্যতায় আম্মুর কাছ থেকে দূরে থেকে, অনুভূতি গুলো আমায় ভীষন পীড়া দিচ্ছে।।

Sunday, July 11, 2010

পরীক্ষা থেকে বাঁচা গেলোনা...:)


দেখতে দেখতে পরীক্ষা চলে আসল। প্রস্তুতি এখনও পর্যন্ত জিরো।। ফুটবল ফাইনাল খেলাটা শেষ করেই পড়া লিখা শুরু করব বলে মনস্থ্য করছি।। তবে এবার সব ক্লাস করেছি। মনে হয় শুরু করলেই পারব।মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে রেজাল্ট এর পর। এ পর্যন্ত যতবারি রেজাল্ট হয়েছে,প্রত্যেক বারি বলি এবার থেকে ভাল করে পড়ালিখা শুরু করব। কিন্তু এ পর্যন্ত কনোবারি পড়া শুরু করা হয়নি।।যতসব ব্যাস্ততা শুরু হয় বড় জোর এক সপ্তাহ আগে থেকে।। ঘুমতুম সব হারাম তখন।।সারাটা বছর যদি এমন করে পড়তাম,তবে মনে হয় আমার মত পড়ুয়া আর কেউ হতনা।।এটা মনে হয় যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।। হাস্যকর হলেও সত্য।

পরীক্ষা ২২ তারিখ থেকে শুরু।।আমি পড়ালিখা শুরু করব,ভাবছি ১২ তারিখ থেকে।। এবার রেজাল্টটা আগের তুলনায় আর একটু ভাল করার প্রত্যাশি আমি।। বাকিটা আল্লাহ জানেন। হে আল্লাহ,তুমি আমাকে সাহায্য করবে।।

Friday, July 9, 2010

নীরব কেক কাটা...!


ইদানিং আমরা শুক্র বারেও ব্যাস্ত হয়ে গেছি।দিনদিন ব্যাস্ততা বেড়েই চলছে।। জুমার নামাযের পর বাহিরে থাকতে হয়। অনেক কিছুই চোখে পডে রাস্তায়।আবার কত কিছু খেয়াল করিনা।।মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপার নজর কাটে।।ঢাকার মানুষ গুলো একটু বেশিই ব্যাস্ত থাকেন। শুক্রবারটা হল তাদের সস্থির দিন।। সারাদিন বিশ্রাম আর বিকেল বেলায় একটু মঝা করে কটানো।এ দিনটার বিকেল বেলায়, পার্ক গুলোতে বড্ড ভিড় থাকে।।কেউ পরিবার নিয়ে,কেউ বন্ধুরা মিলে,আবার কেউ মনের মানুষটাকে নিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটান।। আজ যে ব্যাপারটি নজর কাটল......... আমি আর ছোটন,কাজ শেষে বাসায় ফিরব।আমি বললাম চল,চা খাই। ও না করলনা। আমারা দু'জন একটা মোটামুটি ভাল হোটেলে ডুকলাম।পাশের একটা টেবিলে তিনটা ছেলে মেয়ে। দু'জন ছেলের বয়স ২১,২২ এর বেশি হবেনা। মেয়েটি ১৬ বছরের বেশি না।।ওদের ড্রেস আপ দেখে মনে হল ওরা ভারী কোন কাজ করেন।।খুব সম্ভবত মেয়েটিও খুব বড় ঘরের কেউ হবেনা।। ওদের সামনে একটা পেকেট ছিল।।ওটার মধ্যে কি আছে তখনও আমরা জানিনা।। দু'জন পাশাপাশি আর একজন সামনে বসে,ক্লান্তিময় চোখে ওদের তিনজনাতে হাসি বিনিময়।। কিছুক্ষণ কেউ কোন কথা না বলে তিন-জনি বসে আছে।।এরি মধ্যে ওদের একজন পেকেটটা খুললেন।।তারপর একটা কেক বের করলেন ওটা থেকে।।
তখন আমদের আর বুঝতে বাকি থাকলনা যে,আজ ওদের যে কোন একজনের জন্মদিন। কিছুক্ষন পর দেখা গেল মেয়েটি কেক কাটছে।।সুতরাং মেয়েটির জন্মদিন।। তারা একে অপরকে খাওয়াচ্ছে খুব হাসিমাখা মুখে।।একটু পর তাদের সাথে দু'জন হোটেলের কর্মচারিও অংশ নিল তাদের আকুল অনুরোধে।।এরপর নীরব হৈঃ হৈল্লাতে একটা জন্মদিনের উৎসব শেষ হল।।ওদের এ আয়োজনটা আমদের ভীষণ আকৃষ্ট করেছে।।যদিও অনেকর কাছে তাদের এ উৎসবটা কিছুই না,তবুও তাদের প্রানের উল্লাস কারো থেকে কম নয়।। আমি আর ছোটন একটা জন্মদিনের উৎসব খুব কাছ থেকে উপভোগ করলাম।।


" শুভ জন্মদিন "