কিছু কথা...!


নতুন শুরু করলাম।কিছুই বুজতেছিনা ভালকরে।তারপরও শুরু করে দিলাম।দেখি কোথায় যেতে পারি। কারো নির্দেশনা ফেলে হয়ত আরো ভাল করতাম।।অনলাইন এ অনেক বন্ধুকেই দেখি হালকা পাতলা এসব কাজ করতে। কিন্তু নিজ়ে কখনও সাহস করিনাই। এখন দেখতেছি সাহস না করলে হচ্ছেনা। তাই সাধনা শুরু করে দিলাম।। হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর...! (আমিন)

Thursday, August 11, 2011

"Love" নিয়ে লাভবান হওয়ার মত কিছু কথা...।।

এবার আমাদের সিলেবাস এ শেক্সপিয়ার আছেন। বিষয়টা পড়াচ্ছেন আমাদের বিভাগীয় প্রধান।অসাধারন পড়ান স্যার। কিছু কথা বল্‌লে বুঝতে পারবেন। দরুন আপনি স্যার এর ক্লাসে আছেন। এক, আপনি অমনোযগি হয়ে থাকতে পারবেন্‌না। দুই, আপনি চাইবেন প্রত্যেকটা বিষয় ভালভাবে বুঝতে। তিন, স্যার অল্প দিনেই আপনার সবছেয়ে ভাললাগা স্যারদের একজন হয়ে যাবেন। এ কথা আমি বাড়িয়ে বলছিনা। আমি নিশ্চিত যে,আমাদের ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী যারা স্যারের ক্লাস করেছেন তারা এ কথা অকপটে স্বীকার করবে।

ঐ দিন স্যার আমাদেরকে শেক্সপিয়ারের The Tempest পড়াচ্ছিলেন।পড়াতে পড়াতে আমাদের টপিক আসল "ফাষ্ট সাইট লাভ" (প্রথম দেখাতে ভালবাসা)। শেক্সপিয়ারের নায়ক-নায়িকার ভালবাসা হতে খুব দেরি হয়না আমাদের বাংলা সিনেমার মত...:)

তারপর বর্তমান সময়ের ভালবাসা নিয়ে কিছু কথা বল্‌লেন স্যার। অনেক ছেলে-মেয়ে আছেন,যারা বাবা-মার অমতে; এবং কি পরিবার থেকে বিচ্ছেদ হয়ে বিয়ে করেন।বেশির ভাগই এমনটা করেন,যখন পরিবারের সদস্যরা ওদের সম্পর্কে সমর্থন না করেন/ রাজি না হন।আবার অনেক ছেলে-মেয়ে এমনটা বলে বসেন যে, " মা-বাবা আমাদের ভাল চান্‌না"।এবং আরো অনেক কিছু...........................।

বাবা-মা সন্তানের ভাল চায়না এটা সম্পূর্ণ রুপে ভূল কথা। পৃথিবীতে এমন কোন বাবা-মা নেই যে,তাঁর নিজের সন্তানের ভাল চান্‌না। তবে হ্যাঁ, বাবা-মা তাদের অজ্ঞতা বশত ভূল করতে পারেন। এর মানে এ নয় যে,মা-বাবা সন্তানের ভাল চান্‌না।সেক্ষেত্রে বাবা-মাকে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। কিছু বাবা-মা একটু আলাদা এ কথা স্বীকার করি।

মাঝে মাঝে কিছু ছেলে-মেয়ে আপত্তী করেন যে,তাদের বাবা/মা তাদের সাথে রুঢ হয়ে কথা বলেন এসব ব্যাপার নিয়ে।এতে প্রেমিক প্রেমিকা অনেক কষ্ট পায়।যে মা-বাবা সেই ছোট বেলা থেকে আজ এ দিনটি পর্যন্ত কত কষ্টের বিনিময় যে তোমায় এ স্থানটায় এনেছেন এটা চিন্তা ক্রবে।।যার প্রতি সকল ভালবাসা নিবেদন,যার প্রতি এত পরিচর্যা; তাকে একটু গরম হয়ে কথাও বলা যাবেনা............???? যেদিন নিজে বাবা-মা হবে সেই দিন বুঝবে যে,তোমার ছেলে/মেয়ে,তোমার অমতে অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে সেটার কষ্ট কতটূক।।ঐ কষ্টটুকু সত্যিকারের অবস্থায় পডা ছাড়া অনুভব করা অসম্ভব। এ কথাটা আমার হৃদয়ে লেগেছে।আসলেইতো............। কখনওতো স্যারের মত করে ভাবিনি...:(

তারপর স্যার বললেন,এমন কিছু করবেনা যাতে মা-বাবা কষ্ট পায়।তোমাদের পড়াশুনা শিখতে,মানুষের মত মানুষ হতে পাঠিয়েছেন মা-বাবা।স্যার এরপর ধর্মীয় দু'টো কথা বল্‌লেন।

১, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।

২,পিতার সন্তুষ্টিই স্রষ্টার সন্তুষ্টি।

গতকালের ক্লাসে স্যার আমাদের পড়াচ্ছিলেন শেক্সপিয়ার সনেট "Let me Not to The Marriage of True minds"। এ সনেটটা আমি এর আগেও পড়েছি।পড়ার কারণ হল যখন "Sense & Sensibility" মুভিটা দেখেছি,তখন কেট উন্সলেটের প্রমে পড়ার কারণ এবং প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়ার কারণ এ সনেট্‌টার অনুভূতি।

এ সনেট্‌টাতে শেক্সপিয়র সত্যিকারের ভালবাসা নিয়ে বলেছেন।সনেট্‌টা শুরু হয়েছে এভাবে--

আমাকে বলনা যে সত্যিকার দু'টি মনের মিলনে বাধা আছে।

এ ভালবাসা কোন ভালবাসা নয়,যেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ পেলে পরিবর্তিত হয়। এটা এমন হতে পারে, দরুন আগের জি.এফ এর তুলনায় নতুন জন বেশি সুন্দরি অথবা বাবার গাড়ি-বাড়ি বেশি আছে।সুতরাং আগের জন বাদ,এখন নতুন জন...ঃ) এটা কোন ভালবাসা নয়। ব্যাপারটা ভাইচ-ভারচা ও হতে পারে।

এ ভালবাসাও কোন ভালবাসা নয়, যেটা ধমক আসলে স্তমিত হয়ে যায়। ব্যপারটা এমন হতে পারে--- জি.এফ এর বাবা/ভাই অনেক বড় ক্ষমতাবান (মেজর,পুলিশ অফিসার,মাস্তান) টাইপের কিছু। ধমক দিলেই আপনি চুপ...ঃ) মেয়েদের বেলায় দরুন পরিবারের কেউ ধমক দিলেই ভালবাসা শেষ...:D এটা কোন ভালবাসা নয়।

ভালবাসা হচ্ছে ফিক্সড মার্কের ( সমুদ্রের মাঝে গতিপথ নির্দেশকারি এক ধরনের ভাসমান বস্তু,যেটা সবসময় একি স্থানে থাকে) মত। এটা হাজার ঝড়েও বিন্দু মাত্র নড়েনা।

অথবা ভালবাসাটা হচ্ছে গহীন সমুদ্রের নাবিকের "শুকতারার" মত।যেটার সত্যিকারের মূল্য একজন নাবিকই বুঝবেন যে,এ তারাটা তার জন্য কত প্রয়োজনীয়।

ভালবাসা সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়।দরুন কেউ অনেক সুন্দরী কারো সাথে প্রেম করল।তারপর তাকে বিয়ে করল। এ সুন্দরী কিন্তু সবসময় সুন্দরী থাকবেনা।ঐ ব্যাক্তির ভালবাসা যদি সুন্দর শরীরের হয় তবে তা নির্দিষ্ট সময় পরে শেষ হবে।এটা ভালবাসা নয়।

এরপর স্যার একটা উদহারন দিলেন।আমি গ্রামে বড় হওয়া ছেলে।আমিও এ ব্যাপারটা দেখেছি। আমার দাদুর ছোট বোন আমাদের বাড়িটে বোনকে দেখার জন্য বেড়াতে আসতেন।উনার বয়স তখন আনুমানিক পঞ্চাশ এর বেশি হবে।দু'দিন পর দেখতাম নানা (ঐ নানুর স্বামী) চলে আসছে। নানা গত দু'টা দিন নানুকে ছাড়া খুব কষ্ট করে কাটিয়েছেন এটা বুঝা যায়। নানা-নানু দু'জনেই অনেক বৃদ্ধ।কিন্তু তাদের মনের যে ভালবাসা তা একেবারে সতেজ।এটা হল সত্যিকারের ভালবাসা...:) সময়কে জয় করেছে।।

Sunday, October 10, 2010

১০. ১০. ১০.....!

১০ .১০ .১০ আজ
আগে জানা ছিলনা আমার।ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর জানলাম।বন্ধুরা বলাবলি করছে।এক পর্যায়ে যখন মাজহার স্যার আসলেন তিনিও বললেন।আমাদের আনিস বলে উঠল,২০১৩ থেকে আমরা কিন্তু এমন দিন আর পাবনা।
ওর কথার একটি বিশেষ দিক ছিল।ও কিন্তু হারানোটার কথাই বলেছে।হয়ত এ দিনটিকে বিশেষ করে দেখানোর জন্য।হয়ত কোনকিছু ছাড়া এমনিতেই বলেছে।
তারপর মাজহার স্যারের ক্লাস শেষ হল।ফোন হাতে নিয়ে দেখি একটা মেসেজ্‌।প্রিয়া পাঠিয়েছেন।ও লিখলেন-- "vaiya, do u knw 2day is 10.10.10...!its a intersting day.. riteeee!" সবকিছু শেষে আমাকেও ভাবতে হল আজ হয়ত বিশেষ একটা দিন।
দিনটা আসলে কি?আসলেই কি কোন বিশেষ কিছু আছে? একটু পাগলামি করা যাক,দেখি কিছু পাই কিনা-----!

>দিনটা কি আমার কালো কালির কলম খুঁজ়ে না পেয়ে নীল কালিতে লিখার মত কোন কিছু। এখানেও কিন্তু ত্রিপল আছে--- কালো কালি,নীল কালি আর আমার লিখাটা...ঃ)

>নাকি দিনটি শ্রী রবি ঠাকুরের ঘরে- বাহিরের স্মৃতিচারন।নিখিলেশ,বিমল আর স্বন্দীপ বাবুর মত।

>নাকি দিনটি আমারা যে তিন ভাই এ কথা মনে করে দেয়ার মত কোন কিছু! আমি,ফিরোজ আর রাশেদ। তিনেই কিন্তু সীমাবদ্ধ।

>হয়ত আমার তিনটি পর্যায়ের একত্রি করনও হতে পারে আমার স্কুল জীবন, কলেজ জীবন,তারপর ভার্সিটি

>হয়ত মানুষকে তার জীবন চক্র মনে করিইয়ে দেয়ার মত কোন কিছুজীবন, মৃত্যু এবং আখিরাত তিনটা ধাপ পুরা মানব জীবনের

>মজার ব্যাপার হচ্ছে,আমার বিচ্ছেদের সাথীও কিন্তু এ তিন। আমি,ও, আর আমার কাছের কেউ।এখানটাই ত্রিপল আমার সর্বনাশ। আবার ত্রিপলেই আমার নতুন জীবনের প্রেরণা।


*** আসলে এ ত্রিপলটা হচ্ছে--- কিছুক্ষন আমার মত করে ভাবা, কিছুক্ষন পাগলামি করে অবশেষে কিছুনা বলে শেষ করা......ঃ))

Saturday, September 4, 2010

তুমি আমি...:)


প্রথম আমাদের দেখা, খুব বড়না তখন আমরা। এত কিছু বুঝতামনা হয়ত এখন যেমনটা ভাবছি। ও খুব সম্ভবত ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন। আমি ক্লাস নাইন থেকে টেইন এ উঠলাম মাত্র। এর আগে আমাদের দু'জনাতে কথা এবং দেখা হইয়েছিল কিনা আমার কোনটাই মনে নাই।খুব সম্ভবত হয়নি।তার চাঞ্চচল্যতা আমায় মুগ্ধ করেছিল।অনেক লাজুক ছিলাম তখন। এখনকার মত করে কিছুই ভাবতে পারতামনা। আমাদের দু'জনাতে তেমনটা কথাও হয়নি। আমার রুম এ ও এক দু'বারের জন্য আসছিল, তখন আমি আমার হোম ওয়ার্ক নিয়ে ব্যাস্ত।আসতনা হয়ত,যদি ওর ছোট ভাইটা না আসত। ছোট বাচ্ছাদের কোন কিছুর ঠিক ঠিকানা নাই বলে ওর অবুঝ ভাইটি আমার রুম এ না বুঝেই চলে আসত।ওর ছোট ভাইটি যেতে চাইছিলনা বলে ওকেও থাকতে হয়েছিল কিছুক্ষণ। আমি কি লিখছি ও দেখছিল। আমার দু' একটা খাতাও দেখল।আমি তখন ফাস্ট বয় ছিলাম আমাদের ক্লাসে।আমি সুন্দর হাতের লিখার জন্য পুরুস্কার পেয়েছি। ও আমার হাতের লিখার প্রসংশা করল।প্রসংশা শুনতে কার না ভাল লাগে। আর সেটা যদি ভাললাগার কেউ হয়,তবেতো কথাই নেই।তার অল্প কিছু আলাপন,অদ্ভুদ চাহনি এবং চাঞ্চচল্যতা আমায় দারুণ ভাবে মুগ্ধ করেছিল।

তারপর,তার একান্ত কাছের এক জনের কাছ থেকে আমি তাকে আরো ভালভাবে জানতে চেয়েছিলাম।নতুন করে জানলাম ও ক্লাসের ফাস্ট গার্ল।এটা শুনে আমার ভাললাগাটা আরো বাড়ল। কিন্তু তারপর তার কাছের মানুষটি আমাকে তার সম্পর্কে যতসব বলল,তাতে আমার আর কিছু বলার ছিলনা।আমার ভাললাগাটাকে আপনার মাঝেই ধমিয়ে রাখলাম।কেউই জানলনা আমার ভাললাগা।

তারপর এস,এস,সি তে ভাল রেজাল্ট করার অপরাধে আমাকে আমার প্রাণের গ্রাম ছাড়তে হল।ঢাকায় ভর্তি হলাম।প্রথম বর্ষের শেষের দিকে একজনকে আমার ভাললাগল।তারপর চার চারটা বছর আমাদের এভাবে চলে।.........................................................

আমার প্রথম ভাললাগার মানুষটির সাথে মাঝে মাঝে আমার কথা হত।কথার থেকেও এস,এম,এস বেশি লিখতাম। ওদের বাড়ি গিইয়েছি দু'বার বেড়াতে। কিন্তু কখনও ওকে বলিনি আমর ভাললাগার কথা। ওর জীবনেও আমার মত ঝড় যায়। ও ও একটা ছেলেকে পছন্দ করত।এটা নিয়ে কত জটিলতা হয়েছিল। ভাবতেই খারাপ লাগে যে বেছারিকে কতনা কষ্ট পেতে হয়েছিল।

সবছেয়ে ভাললাগার ব্যাপার হচ্ছে,আমরা দু'জন এখন অনেক ভাল বন্ধু। আমাদের দু'জনাতে প্রায়ই আলাপ হয়। অনেক কিছু আমরা শেয়ার করি। আমার আগের ভাললাগাটা ও কখনও জানবেনা এবং আমার জানানোর কোন ইচ্ছা ও নেই। আমাদের বন্ধুত্বের দাবিতে আমার আগের ভাললাগাটা শেষ। ভাল বন্ধু হয়ে থাকব দু'জন।।

ক্যাম্পাস,লেক আর আমরা...।।


আমি আরো কিছু বন্ধু আমাদের।সকাল থেকে শুরু করে শেষ বিকেল পর্যন্ত অবধি। কিছু বন্ধু রাত পর্যন্ত থাকেন। দুপুর বেলা ভাত খাইনা কতদিন। আমি একানা,,, ছোটন,জুবায়ের,ফারুক,নোমান,আয়াতুল্লাহ,জুয়েল,জাহিদ,মুহিদ এবং আরো অনেকে। আমরা কয়জন রুবেলের দোকানের সিংগারা আর সহিদের দোকানের চা' খেয়ে থাকি। মাযেদ,সারাফাত,জুয়েল থাকে সিগারেট আর চা'র উপর।মাঝে মাঝে জাহিদ ওদের সাথে যোগ হয়। তখন সিগারেটের দোঁয়া আর যাপশা আকাশের দৃশ্য।

নোমান ভাই থাকেন পেপ্‌সি আর বেন্‌সন সিগারেটের উপর। জুবায়েরটা কৌতুহোলি। মাঝে মাঝে সে নোমানের সাথে সিগারেট শেয়ার করেন। ওর ভাবসাব অন্যরকম,। কখন কি করেন বুঝিনা।হঠাৎ এসে সিগারেট খোরদের সিগারেট কিনে দিচ্ছেন; নিজ়েও খাচ্ছেন। অনেকটা জন পতিনিধির মত।আমাদের এলাকার ছেলে ও। একটা সময় এমন ছিল যে, ও নিজ়েই চিন্তা করতে পারতোনা

ও এমন সিগারেট খোর হয়ে যাবে। আপন কৌতুহলে ও সিগারেট ধরল।ওকে সিগারেট ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমি আর ছোটন চেষ্টা করছি।

আমাদের মধ্যে ছোটনটা পড়া লিখার ব্যাপারে একটু বেশি সিরিয়াস। আনিস ও একটু। জুয়েলটা ইমোশনাল টাইপের। যখন পাড়ালিখার কথা উঠে তখন ও সবার আগে থাকেন। কিন্তু ও কাজ়ের দিন আসেননা। পরীক্ষার আগে আমাদের পড়ালিখাটা একটু বেশি হয় অন্য সময়ের তুলনায়। বিশেষ করে ডিস্‌কাশন। কখনও ফারুক,কখনও আমি আবার কখনও আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যে কেউ শুরু করেন। ঘন্টার পর ঘন্টা চলে। মাঝে মাঝে বিরতি। সহিদের দোকানে চা' খাওয়ার পাল; আর সিগারেট খোরদের সিগারেট।। তারপর আবার শুরু। এভাবে চলে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত।এখন পরীক্ষা চলছে; তাই এমন।

যখন ক্লাস শুরু হবে তখন চিত্রটা অন্য রকম। প্রত্যেক ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে লেকে আসতেই হবে। এ যেন অনেকটা অত্যাবশ্যক কাজ। না করলে মার খেতে হবে।নোমান,সারাফাত,মাযেদ একটা মিনিট ও থাকতে পারেন্‌না ক্লাসের পর। সবাই মিলে আড্ডা;হাসি তামাশা। মাযেদের; ওর আন্টিদের সাথে চোখাচুখি আর হাসি বদল। জুয়েলের হাস্যকর সব মন্তব্য।মাযেদটা একটু বেশি মজার। ছোট বোন,বড় বোন, ইয়ার মেট এবং আন্টিরা; কার রেহায় নেই ওর মন্তব্য থেকে। আর হাজার খানেক জি এফ আছে ওর। হাজার খানেক সিমও।

পরাগটা বাদ পডে গেল বুজি। আর একজন বন্ধু আমাদের। খাওয়ার ব্যাপারে ও সিরিয়াস। কে এফ সি, স্টার কাবাব এ সবে গিয়ে খাবে ও। প্রধান বন্ধু হচ্ছে ওর বেন্‌সন সিগারেট। প্রত্যেক দিন প্রায় ২টা পেকেট সামাল দেয় ও।

আর একজন ফারুক আছে আমাদের মধ্যে। দুলাভাই বলি ওকে আমরা। বিয়ে করেছে ও একটা ফুটফূটে সুন্দরী বউ। ভীষন খুশি ও ওর বউকে নিয়ে। একটু হুজুর টাইপের। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এখন ভীষন ব্যাস্ত হয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করলে বলে,বউকে সময় দিতে হয়। বউ যেতে দিতে চায়না।। আরো কত কি।

প্রায় শেষ করে পেলেছি আমাদের গ্রেজুয়েশন। বন্ধুরা অনেকেই কোথায় কে চলে যা্বে কে জানে।। তবুও আমরা আমাদের ক্যাম্পাস,লেক,রুবেলের দোকান আর সহিদেরর চা' অনেক মিস্‌ করব।

ছোটনের জন্য লেখা বাকি সব। ওর ইন্সপাইরেশন পেয়ে আবার লিখার চেষ্টা করলাম।ছোটনের ইন্সট্রাকশন মত এবার আনিস দিয়ে শুরু।ক্লাসে সব কিছু ও নোট করবে। কেউ যদি কখনও কিছু মিস্‌ করে সেটা আনিসের খাতায় খুঁজলে পেয়ে যাবে।ইংরেজীতে তাড়াতাড়ি লিখতে না পারলে বাংলায় লিখবে ও।

কিন্তু না লিখে চাড়বেনা। এটার মাধ্যমে আমরা সবাই উপকৃত হই। ওকে আমি অনেক কথা বলি ওর ভাবীকে নিয়ে।ওর বড় ভাই,যিনি বি,বি,এ ডিপার্টমেন্টের হেড উনার বউকে নিয়ে। সব মজার জন্য বলা। অনিস কখনও রাগ করেনা। ও হাসে এবং আমরা সবাই হাসি। মাঝে মাঝে আনিস আমাকে বলে, "আচ্ছা রিমন,তুমি যা বল এসব যদি বাহিরের কেউ শুনে তাহলে কি ভাববে বলত" ।আমি বলি মানুষ সবাই তার নিজ়ের ইচ্ছা মত ভাবতে পারেন। এতে তোমার আমার কি আসে যায়...? এর পর ও হাসে।সব থেকে নজর কাড়া ব্যাপার হল আনিসের খাওয়া। কাঠবিড়ালীর মত কূটুকূটু করে শম্বুক গতিতে খাবে ও। ও একটা সিংগারা খেটে যা সময় লাগে সেই সময়ে অন্য যে কেউ কমপক্ষে পাঁচটা খেতে পারবে।। চস্‌ ওর ভীষণ প্রিয় একটা খাওয়ার।

আয়াত, আমাদের মজার বন্ধু ও। আমি আর ও একত্র হলে,যত বড় বাটপারই হোক; আমাদের কাছে তর্কে হারতে হবে।ব্যাবসায়ীক মাইনডের ও। সবকিছুতে প্রপিট খুঁজ়ে । পড়া লিখের চেয়ে ব্যাবসায় সময় বেশি দেয়। ভবিষ্যতে ভালো ব্যাবসায়ী হতে পারবে।ওকে দিয়ে আড্ডা জমে। মানুষকে অপ্রস্তুত করার ওস্তাদ ও।

মাযেদ এবং জুয়েল। যাদের কথা না বললেই নয়। মাযেদটা যত ভাল কথা অথবা যত খারাপ কথা বলুক;ওটার সাথে খুব সুন্দর করে একটা গালি মিক্স করে দিবে। জুয়েলটা একটু স্মার্ট টাইপের গালি দেয়।অনেকটা সাহিত্যিক স্টাইলে।। একটা কথা বললে বুঝা যাবে। এবার ওদের একটা সাবজ়েক্টের প্রশ্ন একটু কঠিন হয়েচে।পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর ওকে জিজ্ঞেস করলাম,"জুয়েল মামা,পরীক্ষা কেমন হল...?"। ও উত্তর করল," কবি নূরুল হুদা আমাদের কে দিয়েছে 'এন আনক্লিন ব্যামবো উইদ আউট বেজেলিন' "।।ওর সকল মন্তব্য এমনি;শুনলে কেউ না হেসে থাকতে পারেনা।

মুহিদ,আমাদের সকল বন্ধু থেকে ও একটু আলাদা ঘোছের। মানসিকতা ওর অনেক ভাল। অন্য আট দশ জনের মত ও প্যাঁচ করেননা কোন কিছুতে। ও জানে সবার থেকে বেশি, কিন্তু খাতায় লিখেন সবার থেকে কম। এটার কারনে মুহিদ তার প্রাপ্তিতে যেতে পারেনা। ওর একটা গুন এবং দোষ হল, সব কিছুতে ও এলাবরেট ডিস্‌কাশন করেন। এটা আমাদের বন্ধুদের অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেক করেননা। ও হল চার পাঁচ জন ভাবীর ছোট দেবর এবং ওর সকল ছাত্রীর প্রিয় স্যার। এসব নিয়ে আমি মাঝে মাঝে ওর সাতে পাজিলামিকরি। ও ভীষণ লজ্জা পায়। ঠিক মনে হইয় যেন একটা লাজুক বানর।।

ফারুক, সবচাইতে ব্রিলিয়েন্ট। আমাদের ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের এক মাত্র ছাত্র,যিনি বিদেশী ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশীপ পেয়েছেন। আমাদের সাথে উনি আছেন বলে আমরা অনেক গর্ববোধ করি। অনেক পলাপান উনি মানুষ করেছেন।। অবশ্য ফারুক কোন ছেলেকে পড়াননা। ছাত্রী পড়ান। অনেক ভাল স্যার। অনেক মেয়েকে A+ পাইয়েছেন উনি। অবশ্য এসব নিয়া আয়াত উনাকে আর বাকি রাখেননা কিছু।। রবীন্দ্রনাথ & নজরুল সংগীতের কিছু মনে হয় বাকি নাই উনার। অনেক গান মুখস্ত পারেন উনি। আমরা অনেক গান শুনেছি উনার গলায়। চমৎকার গায় ফারুক।

মাহিব,ডাবল A+ দারি ও (ssc & HSC) । কিন্তু ওর মত এত ক্লাস মিস আমাদের আর কোন বন্ধু করেন কিনা বলতে পারিনা। মনে হয় করেননা। যখন ক্লাসে আসেন সেই দিন ওর এপয়েন্টমেন্ট থাকেন। মাঝে মাঝে সব ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই ভাগেন ও। একটা মেয়ের প্রেমে পডছে ও।ইডেনে পড়ুয়া এ মেয়েটির পিছনে ও দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ওর না থাকে সময়,আর না থাকে শক্তি। বন্ধুদেরকে কোন সময় দিতে পারেনা ও। যখনি ওকে কেউ বসতে বলল, অমনি বলে উঠে "আজ আসিরে দোস্ত;আমার একটা জুরুরি কাজ আছে"।।

ছোটন,যার কারণে বাকি অংশ লিখা। আমাদের অনেক ভাল বন্ধু ও এবং আমাদের ক্লাসের নিয়মিত ছাত্রদের একজন। ক্লাসে খুব মনোযোগি ও। সকল টপিক বুজার চেষ্টা করে। ও অনেক কর্মঠ। পেমেলি এবং বন্ধু,সবাইকে ও সময় দেয়। পেমেলির অনেক কিছু ওকে করতে হয়।ওর এত সব্ ভাল দিকের জন্য ওকে আমার ভীষন ভাল লাগে। আমরা দু'জন এক সাথে অনেক কাজ করছি।এ যেমন শপিং,গুরাগুরি,আড্ডাবাজি....................................।

আমার নিজ়ের সম্পর্কে বলার মত কিছু বাকি রাখলামনা। সবার ফাকে ফাঁকে কম বলিনি। বাকি সব সকল বন্ধুদের কাছে।।............।।

অনেক গুলো অনুষ্ঠান হয়েছে আমাদের বন্ধুদের মাঝে। কারো জন্মদিন আসলে সকল বন্ধুকে খাওয়ানো। কারো ছোট ভাই বোন ভালো রেজাল্ট করলে খাওয়ানো। কারো জি,এপ ভালো কিছু করলে। এভাবে একটার পর একটা অনুষ্ঠান লেগেই থাকে আমাদের মাঝে। তখন আমরা অনেক মজা করেই কাটাই।

Wednesday, July 28, 2010

ছোটনের জন্মদিনে আমার গিপট্‌...!

আকাশে অনেক সুন্দর একটা চাঁদ "জানু"। পুরা ঢাকা শহরটা যদি লোড-শেডিং হত...! ইস্‌,,, কি সুন্দরটানা লাগত।মাঝে মাঝে কিছু নারিকেল গাছ চোখে পডে। চাঁদের আলোটা যখন নারিকেল পাতার উপর পডে;এর সৌন্দর্য্য দেখেছিস্‌ কখনও...?অদ্ভূদরে...!
আমি প্রায় ...চাঁদের আলোতে দেখি। মনে হয় যেন আমার গ্রাম।

এই,,... জোনাকি পোকার মাঝখান দিয়ে মাঝরাতে একাকি রাস্তায় হাঁটার অভিজ্ঞতা আছে তোর...? ধর, তুই একা বসে আছস্‌;পশ্চিম আকাশে সুন্দর একটা চাঁদ; অদূরে হালকা কুঁয়াশা ঝরছে;মাঝে মাঝে মিট মিট করে জোনাকি পোকার আলো দেখা যায়। তুই,চাঁদের আলো,আবছা কুঁয়াশা আর জোনাকি পোকা ছাড়া কেউ কোত্থাও নেই। ভাবতো এ রাতটা।। অনেক সুন্দর তাইনারে...?
এ রাত্রিটা তোর জন্ম দিনে আমার গিপট্‌ "জানু".....ঃ)

"শুভ জন্মদিন""

আমার গ্রাম আর আমার মা...!

গ্রামে যায়না আজ প্রায় দু'মাসের বেশি।আমি কখনও এক মাসের বেশি ঢাকায় থাকিনা সচরাচর।আজ ভীষন মনে পড়ছে নিজ়ের গ্রামটিকে। আমার গ্রামের বন্ধুরা।কত প্রহর কাটিয়েছি তাদের সাথে।।ক্রিকেট ,ফুটবল আরও কত রকমের খেলায়। আজও জীবনের একান্ত ব্যাস্ততম ক্ষণে কথা গুলো মনের গহিনে ভাসে।
স্কুল,টিপিন পিরিয়ড এ জীবন স্যারের কাছে উচ্চতর গণিত করা।ছুটির পর আবার কাইয়ুম স্যারের কাছে ইংরেজি পড়া।ক্লাস শুরুর আগে আবার পদার্থ এবং রসায়ন প্রাইভেট।এত ব্যাস্ততার পরও ঠিকই বের করে পেলতাম খেলার সময়টা। আমি একা পাগল ছিলামনা। আমার থেকেও বড় বড় পাগল গুলো ছিল।এত কিছুর পরও মনে হয় যেন বিন্দু মাত্রও ক্লান্ত হতামনা। মাঝে মাঝে জীবন স্যার ভীষন বোকাও দিত, "তোমাদের বলি,সময়টা নষ্ট করনা;তাও তোমরা খেলা ছাড়তে পারনা; এ নাড়া ক্ষেতের খেলা দিয়ে জীবনে কিচ্ছু হবেনা "। স্যার যখন জাড়তেন, তখন ঠিকই মাথা নিছু করে শুনতাম। ক্লাস রুম থেকে বের হহলেই সব ভূলে যাই। ঠিকই আবার মাঠে নেমে যাই। সকালে বের হলে সন্ধ্যার আগে খুব কম সময়ই বাসা ফিরছি।।কারণ হল,বাসায় গেলেই আম্মু ঘুমানোর জন্য আটকাবে।তখন আর খেলতে যেতে পারবনা।।
আম্মু অনেক দিন আটকিয়েছে। কিন্তু আম্মুকে ঘুম পাড়ায়ে কখন যে বের হয়ে গেছি আম্মু বলতেই পারেনা।বাসায় ফিরার পর মারতো রেডি করেই রেখেছি।আম্মুর শলার বাড়ি পিঠের উপর কত শেষ হয়েছে তার হিসেব নাই।আজও আম্মুর সাথে মাঝে মাঝে কথা গুলো বলে মায়-ছেলে হাসা হাসি করি।।আম্মু মনে হয় এভাবে না মারলে হয়ত এত দূর আসতে পারতামনা। আমার জীবনের সকল অর্জন আমার আম্মুর। জীবনের এ বেলায় ফেলে আসা দিন গুলোকে ভীষণ অনূভব করি।। ইস্‌......... যদি ঐ ভাবে জীবনটা চলত...!

আম্মুর আজ এই কষ্টকর মহূর্তে;আম্মুর আদর,আম্মুর শাসন ভীষন মনে পরছে।। খুব ইচ্ছ করছে আম্মুর কাছে যেতে। আম্মুর অসুস্থ্যতায় আম্মুর কাছ থেকে দূরে থেকে, অনুভূতি গুলো আমায় ভীষন পীড়া দিচ্ছে।।

Sunday, July 11, 2010

পরীক্ষা থেকে বাঁচা গেলোনা...:)


দেখতে দেখতে পরীক্ষা চলে আসল। প্রস্তুতি এখনও পর্যন্ত জিরো।। ফুটবল ফাইনাল খেলাটা শেষ করেই পড়া লিখা শুরু করব বলে মনস্থ্য করছি।। তবে এবার সব ক্লাস করেছি। মনে হয় শুরু করলেই পারব।মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে রেজাল্ট এর পর। এ পর্যন্ত যতবারি রেজাল্ট হয়েছে,প্রত্যেক বারি বলি এবার থেকে ভাল করে পড়ালিখা শুরু করব। কিন্তু এ পর্যন্ত কনোবারি পড়া শুরু করা হয়নি।।যতসব ব্যাস্ততা শুরু হয় বড় জোর এক সপ্তাহ আগে থেকে।। ঘুমতুম সব হারাম তখন।।সারাটা বছর যদি এমন করে পড়তাম,তবে মনে হয় আমার মত পড়ুয়া আর কেউ হতনা।।এটা মনে হয় যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।। হাস্যকর হলেও সত্য।

পরীক্ষা ২২ তারিখ থেকে শুরু।।আমি পড়ালিখা শুরু করব,ভাবছি ১২ তারিখ থেকে।। এবার রেজাল্টটা আগের তুলনায় আর একটু ভাল করার প্রত্যাশি আমি।। বাকিটা আল্লাহ জানেন। হে আল্লাহ,তুমি আমাকে সাহায্য করবে।।